আজকাল ঢাকা শহরে পাওয়া যাচ্ছে না , কোন যবুক লেবু বিক্রেতা। বিয়ের বাজারে তাদের চাহিদা এখন আকাশচুম্বী।
শোনা যাচ্ছে যেখানেই কোন লেবু বিক্রেতার দেখা পাচ্ছে মেয়ের বাবারা সেখান থেকেই তাদের কিডন্যাপ করে নিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু মুক্তিপন হিসাবে কোন টাকা দাবী করছেন না । উল্টো নিজের সুন্দরী মেয়ের সাথে বিয়ে দিয়ে দিচ্ছেন ।
মফিজ আর কুদ্দুশ চলে যায় ঢাকা শহরে বড় বড় সব পাইকারী বাজারে দিকে , আর লক্ষ্য রাখা শুরু করে যুবক লেবু বিক্রেতাদের উপর। পুরো ঢাকা শহর খুজেও ৪ জনের বেশি অবিবাহিত যুবক পাওয়া যায়নি, বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হয় আমাদের কাছে। চারজনের মধ্যে দুজন রামপুরা বাজারে ব্যবসা করে। দুই অবিবাহিত লেবু বিক্রেতার মধ্যে একজন নাম সামীম আর আরেকজনের নাম রাসেল।
রাসেল লম্বা ও একটু সুন্দর চেহেরার হওয়ায় আমাদের দুই সাহসী সাংবাদিক মফিজ আর কুদ্দুস তার দিকে ই বেশি লক্ষ্য রাখে। আমাদের এই সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল । কারন আক্রমন তার উপর ই হয় দুপুরে সাড়ে তিনটার দিকে ।
মূল ঘটনার আগে লেবু বিক্রেতা সামীমের সাথে সাক্ষাতকার থেকে জেনে নেওয়া যাক লেবু বিক্রেতাদের কিডন্যাপ হওয়া নিয়ে কি ভাবছেন ?
১.ঢাকা শহরে অবিবাহিত লেবু বিক্রেতাদের কিডন্যাপ হওয়ার বিষয়ে আপনার মন্তব্য কি ?
ভাইসাব শান্তিতে ব্যবস্যায় করতে পারি না । মন-ডা খালি কু কু করে , এই মনে হয় এখন আমারে ডাকাতি কইরা নিয়া যাইব । ব্যবসায় মনযোগ দিতে পারি না, ব্যবসা লাটে উঠে গেছে ।
২. আপনাদের কিডন্যাপ হওয়ার পিছনের কারণ কি ?
ভাই আমরা গরীব মানুষ আমাদের কেউ কেন ডাকাতি করব, আল্লাহ জানে ! আমি জানি না
৩. বাজারে কথা হচ্ছিল, আপনি নাকি নিজেকে সেইফ রাখার জন্য বডিগার্ড রেখেছেন ?
হে হে হে । এসব উড়ো কথা । আমরা গরীব মানুষ , নিজে খাইতে পারি না দুই বেলা । আবার বডি ফডি গার্ড কেমনে রাখমু
কিন্তু আমাদের কাছে গোপন তথ্য এসেছে , সামীম এর দুই বডিগার্ড তার দোকানের আশেপাশে তরকারীর কিনতে আসার অভিনয় করে তাকে পাহাড়া দিচ্ছে ।
লেবু বিক্রেতাদের কিডন্যাপ করার কারণ
মৌলভীবাজার শ্রীমঙ্গলে লেবুর আড়ত হয়। এই সকল আড়তে লেবুর দাম আর তা ঢাকায় আসার পর লেবুর দামে আকাশ-পাতাল ফারাক ।
ছোট লেবু যা আড়ত থেকে ২ টাকা পাইকারী দামে কিনে আনা হয় তা ৮ টাকা থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হতে দেখা যায়। আবার বড় লেবু যা ৮টাকা থেকে ১০ টাকা পাইকারী দামে কিনে একেকটি লেবু খুচরায় ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ।
লেবুর দাম এতো বৃদ্ধি পাওয়ার কারন
যেহেতু লেবু উৎপাদনের মৌসুম হচ্ছে বর্ষাকাল কিন্তু এখন চৈত্র মাস চলছে । যা লেবুর উৎপাদনের মৌসুম না। তাই লেবুর উৎপাদন চাহিদা তুলনায় বেশখানিকটা কম হচ্ছে আর তাই লেবুর বাজারদর লেবু ব্যবসায়ীরা ইচ্ছে মত বাড়িয়ে বিক্রি করছে। পবিত্র রমজান মাসের ইফতারীতে লেবুর শরবত রাখা হয়, তা লেবুর বাড়তি চাহিদা বাড়ার কারন । এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ৫০০% দাম বাড়িয়ে বিক্রি হচ্ছে লেবু।
রাসেলের কে কিডন্যাপ করানোর কারন কোটিপতি জামাই পাওয়ার জন্য । আমাদের এপ্রিল মাসের বাংলা মিমস -বাংলার প্রথম মিমস ম্যাগাজিনে জন্য যে ব্যাক্তি কিডন্যাপ করিয়েছেন তার সাক্ষাতকার নেওয়া হয়েছে । আশা করি আপনারা পড়তে পারবেন । খুব তাড়াতাড়ি পাব্লিশ করা হবে , এপ্রিল মাসের এডিশন ।